নিজস্ব প্রতিনিধ : জামালপুরে এক নিরিহ ব্যবসায়ী মো: মনিরুজ্জামান মনিরের মনি লাইব্রেরী থেকে বইপত্র ও নগত অর্থ প্রকাশে ডাকাতি এর দোকানঘর জবর দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি ও তার পরিবার।
আজ শনিবার জামালপুরের দক্ষিন কাচারী পাড়া আলোর দিশারী অফিস কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মো: মনিরুজ্জামান মনির
জানান, বিগত সরকারের সময় ফ্যাসিবাদের দোসর
স্থানীয় আ. লীগের নেতা মো. আজাদ আলী খান, মোঃ আসাদ আলী খান ও মোঃ আসলাম আলী খানসহ তাদের কয়েকজন সন্ত্রাসী জামালপুর শহরের গেটপাড়ের দোকান বেশি টাকা জামানত পাওয়ার আশায় জবর করে নেয়।
বাধা দেওয়ায় তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে নির্যাতনের স্মৃতি স্মরণ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। নিরিহ ব্যবসায়ী মোঃ মনিরুজ্জামান মনির ভাড়াটিয়া সূত্রে ১০ বছর যাব ব্যবসা করে আসছেন।
সংবাদ সন্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, বিগত ফ্যাসিস্ট
সরকারের দোসর আওয়ামী পরিবারের ক্ষমতার প্রভাবশালী আঃ লীগ নেতা মোঃ আজাদ আলী খান, মোঃ আসাদ আলী খান ও মোঃ আসলাম আলী খানসহ বহিরাগত কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে দোকানঘর ভাংচুর করে অবৈধভাবে মালামাল নিয়ে যায় গতি বছরের ৩০ নভেম্বর।
তিনি জুলুমবাজদের অত্যাচারের শিকার। বারবার তিনি মারধরের শিকার হয়েছেন। তার দাবি, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শালিসী বৈঠকে দোকান তাদের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হওয়ার পরেও তারা নানাভাবে হয়রানির শিকার হন।
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর তাদের প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে আনার পর আবারো ওই চক্র এ নিয়ে নানাভাবে ষড়যন্ত্রসহ হুমকি ধমকিতে আতংকিত
মনিরুজ্জামান মনিরের পরিবার।
আতংকগ্রস্ত হয়ে তাদের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সহায়তা
কামনায় এই সংবাদ সন্মেলনের আয়োজন করেন।
ভুক্তভোগী পরিবার জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা করেন, তার দাবি পুলিশ প্রশাসন থেকে সঠিক সেবা পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামালপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ফয়সাল আতিক জানান সরজমিন পুলিশ পরিদর্শন করেছে, খুব দ্রুতই আমরা চার্জশিট আদালতে প্রেরণ করিবো।
তবে এ বিষয়ে মো: আসলাম আলী খান দৈনিক জামালপুর বার্তাকে বলেন, আমাদের উপরে যে মিথ্যা অভিযোগটি দেওয়া হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ বানোয়াট, আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ভাড়াটিয়া ছিল। ভাড়া না দেওয়ার কারণে স্থানীয় লোকজন বসে তাকে বের করে দেওয়া হয়।