সরিষাবাড়ি প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আতাউর রহমান বিপুল(৪৫) নামে একজন নিহত এবং মোছাঃ মুক্তা বেগম(৩৫) ও মোঃ আছমা বেগম(৫৫) নামে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে। এঘটনায় আনোয়ারা বেগম(৬৫) কে পুলিশ আটক করেছে।
শুক্রবার(১৭ জানুয়ারী) সকালে উপজেলার ০২নং পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি কান্দারপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এসময় কান্দারপাড়া গ্রামের মৃত কালুর পুত্র নিহত বিপুলের ডান হাত ও ডান পা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দ্বিখণ্ডিত করে ঘাতকরা এবং তার স্ত্রী মুক্তার ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল ও বাম পায়ের রগ কেটে ফেলে ঘাতকরা। এসময় বিপুলের মা আছমা বেগম ঘাতকদের বাধা দিলে তাকেও আঘাত করে ঘাতকরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল দু’পক্ষের মধ্যে।
শুক্রবার সকালে বিরোধপূর্ণ জায়গায় আপেল মিয়া তার ভাগিনা রাব্বি মিয়াসহ দলবল নিয়ে সীমানার গাছ কাটতে গেলে বিপুল মিয়া বাধা দিলে আপেল মিয়ার নেতৃত্বে ভাগিনা রাব্বি, জীবন, তুহিনা বেগম, বোন সাহারা ও মা আনোয়ারা বেগম বিপুল মিয়ার ওপরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এসময় ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কুপে বিপুল মিয়ার ডান পা ও হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে বিপুল মিয়ার মা আছমা বেগম ও স্ত্রী মুক্তা বেগম এগিয়ে আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
আহত বিপুল মিয়াকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং ঘটনায় গুরুতর আহত মা আছমা বেগম ও স্ত্রী মুক্তা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শুক্রবার বিকেল তিনটায় সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহত বিপুলের লাশ উদ্ধার করে এবং আপেল মিয়ার মা আনোয়ারা বেগম(৬৫) ও সাজিদ মিয়া পুলিশ আটক করেছে।
নিহতের বাবা কালু মিয়া বলেন, আমার ছেলে বিপুলকে আপেল ও তার ভাগিনা রাব্বি সহ তাদের লোকজন আমার সামনে কুপিয়ে হত্যা করেছে । আমার স্ত্রী ও পুত্রবধূ মুক্তা বিপুলকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে তাদেরকেও আপেল ও তার লোকজন কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি চাঁদ মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।