নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) চুক্তিবদ্ধ আলুবীজ চাষীদের (২০২৪-২০২৫) অর্থবছর কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা কম মূল্য নির্ধারণ করায় প্রতিবাদ ও ন্যায্যমূল্য প্রদানের দাবিতে জামালপুরে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে কৃষকরা।
আজ সোমবার (১২ মে) দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন জামালপুর বিএডিসি আলুবীজ চুক্তিবদ্ধ চাষীরা।
মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বিএডিসি আলুবীজ চুক্তিবদ্ধ কৃষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো: রুহুল আমীন মিলন,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবীবুর রহমান রুমেল, বিএডিসি আলুবীজ চুক্তিবদ্ধ জামালপুর কৃষক ফোরামের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো: তসলিম উদ্দীন ও আলু বীজ চাষী আবুল কালাম।
বক্তারা বলেন, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে আমরা বিএডিসি থেকে ভিত্তি বীজ ক্রয় করেছিলাম ৪৮/৫৪ টাকা দরে। উৎপাদিত বীজ আলুর দর পেয়েছি ৩৫/৩৭ টাকা কেজি অথচ বাহিরে খাবার আলুর দর ছিল ৭০/৮০ টাকা। কিন্তু আমরা বিএডিসির সাথে চুক্তিবদ্ধ বিধায় বাহিরে কোন আলু বিক্রি করি নাই। বিএডিসির চাহিদামতো আমরা বীজ সরবরাহ করেছি। যার ফলস্রুতিতে বিএডিসি ব্যাপক লাভবান হয়েছে।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বিএডিসি ভিত্তি বীজের দাম নিয়েছে ৬০/৬২ টাকা দরে। এত উচ্চ মূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক, ব্যবহার করে বীজের উৎপাদন খরচ বেড়ে অঞ্চলভেদে দাড়িয়েছে ৩০/৩৫ টাকা, কিন্তু অতিব দুঃখের বিষয় কিছু কিছু জোন থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে যে উৎপাদন খরচ দেখিয়েছে তা চাষিদের উৎপাদিত খরচের সাথে কোন সামঞ্জস্য নেই।
এই অসামঞ্জস্যপূর্ণ উৎপাদন খরচ এবং খাবার আলুর নিম্নমুখী দর দেখে এ অর্থবছরে মূল্য নির্ধারণ করেছে প্রতি কেজি ২৬/২৮ টাকা। আমরা ভেবেই পাচ্ছি না ঐ বৎসর ৪৮/৫৪ টাকা দরে ভিত্তি বীজ কিনে দর পেয়েছি প্রতি কেজি ৩৫/৩৭ টাকা। এ বৎসর ৬০/৬২ টাকা দরে ভিত্তি বীজ কিনে দর পেলাম ২৬/২৮ টাকা। সত্যিই ইহাতে চুক্তিবদ্ধ চাষিগণ ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে সর্বশান্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, তাই দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বিএডিসি আলু বীজের চুক্তিবদ্ধ চাষিদের উৎপাদন খরচের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের আলু বীজের মূল্য গত অর্থবছরের চাইতেও প্রতি কেজিতে দুই টাকা বেশি (৩৭/৩৯) টাকা নির্ধারণ করে নিরীহ কৃষকদের মুখে হাসি ফুটানোর জোর দাবি জানান বীজ আলু চাষীরা।।