নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা ও উপর্যপুরি বিমান হামলার প্রতিবাদে জামালপুরে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস জামালপুর জেলা শাখার আহবানে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১১ এপ্রিল রোজ শুক্রবার বিকাল ( ৪.৩০ মিনিট) সারে চারটার সময় বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস জামালপুর জেলা কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জামালপুর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক বদিউজ্জামাল তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ওমর ফারুক এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ড. প্রফেসর মো. সাইফুল ইসলাম।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা কেন্দ্রীয় আহলে হাদীস জামে মসজিদের সেক্রেটারী আব্দুর রাজ্জাক, জেলা কেন্দ্রীয় আহলে হাদীস জামে মসজিদের খতিব শায়েখ আমির হোসেন বিন আব্দুস সামাদ, সদর উপজেলা জমঈয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন সবুজ, জেলা জমঈয়তের জয়েন্ট সেক্রেটারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার, জেলা জমঈয়তের মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মালেক জামালী, জেলা শুব্বানের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওঃ মহসিন আলম, জেলা শুব্বানের সেক্রেটারী মাওঃ শাফিউল্লাহ, জেলা শুব্বানের সভাপতি মাওঃ রফিকুল ইসলাম সালাফী সহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “ ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের ওপর বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
শিশুর কান্না, মায়ের আহাজারি, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা মানুষের আর্তনাদ—সবকিছুই আজ বিশ্ব বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জাতিসংঘ ও বিশ্ব শক্তিগুলো নির্বিকার দর্শকের ভূমিকায় রয়েছেন।”
তারা অবিলম্বে গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘ, ওআইসি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপের দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সমাবেশে বক্তারা ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের কেনা প্রতিটি ইসরায়েলি পণ্য তাদের গোলাবারুদের উৎস। তাই এখনই আমাদের উচিত ইসরায়েলি সব ধরনের পণ্য বর্জন করা এবং সামাজিকভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা।”
এ সময় বিক্ষোভকারীরা “ গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করো ”, “ইসরায়েলি সন্ত্রাসের বিচার চাই ”, “ বিশ্ব মুসলিম এক হও ”, “ ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করো ”, “ মানবতার পক্ষে দাঁড়াও ”—ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন।
মানববন্ধন শেষে দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়।