নিজস্ব প্রতিনিধির দৈনিক জামালপুর বার্তা: আজ বুধবার(২৭ নভেম্বর) বেলা ১১:০০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব হাছিনা বেগম(জেলা প্রশাসক); জামালপুর মহোদয়। উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব সৈয়দ রফিকুল ইসলাম পিপিএম-সেবা মহোদয়।
স্মরণ সভায় জেলা প্রশাসক মহোদয় শহিদ পরিবারের কাছ থেকে জুলাই-আগস্টের নির্মম পরিস্থিতির স্বীকার হওয়ার বর্ণনা শুনেন।
জেলা প্রশাসক মহোদয় বলেন, ছোট্ট আয়োজনে সবাই আন্তরিকভাবে আপনাদের হৃদয় থেকে নিংড়ানো কথাগুলো বলেছেন। শহীদ, ক্ষতিগ্রস্ত এবং আহতদের জন্য কি কর্ম-পরিকল্পনা হতে পারে তার একটি সুন্দর ভূমিকা উপস্থাপন করেছেন।
অনেকেই আর্থিকভাবে সহযোগিতা, চিকিৎসা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করার কথা উপস্থাপন করেছেন।
সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব আপনাদের পাশে থাকার, সহযোগিতা করার। আপনাদের পরিবারের জন্য ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
৫ই আগস্টের পরে জামালপুর জেলায় শহীদের সংখ্যা ১৭ জন। শহীদ পরিবারকে এবং আহতদের কে সরকারের পক্ষ হতে সহযোগিতা করা হয়েছে।
যারা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ আছেন যার যার জায়গা থেকে উনাদের সাহায্যের ব্যাপারে, চিকিৎসার ব্যাপারে সকল দিক দিয়ে সহযোগিতা করবেন। সবাই মিলে সহযোগিতা করলে সকল সমস্যার সুষ্ঠু একটি সমাধান হবে।
শহীদ, ক্ষতিগ্রস্ত ও আহতদের পাশে জেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গ সংগঠন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটি সহ সকলের সহযোগিতা থাকবে বলে জেলা প্রশাসক মহোদয় আশ্বস্ত করেন।
জামালপুর পুলিশ সুপার মহোদয় বলেন, ৫ই আগস্টের অর্জনকে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ধরে রাখতে হবে। বর্তমান বাংলাদেশ পুলিশের পরিবর্তন হওয়ার জন্য নিজেদের ভেতর থেকে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা আছে, সরকারের সদিচ্ছা আছে এবং জনগণের Expectation আছে।
যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সকল অধিকার আছে। ন্যায় সঙ্গত বিচার পাওয়ার ইচ্ছে আছে এবং দেশও এটিই চাই।
কেউ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হোক এই সংস্কৃতি যেমন ৫ই আগস্টের আগে ছিল এখন যদি এটি অব্যাহত থাকে তাহলে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বুলন্ঠিত হবে। আমরা চাইনা এটি হোক।
অতএব যারা প্রশাসনের সাথে জড়িত আছেন তারা তাদের সাথে যোগাযোগ করেন, তাদেরকে সহযোগিতা করেন। আর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে যেভাবে সহায়তা করা যায় আমরা ইনশাল্লাহ করব।
এসময় জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, রাজনৈতিক অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ শহীদ পরিবারের ব্যক্তিবর্গ, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত সকলেই উপস্থিত ছিলেন।