নিজস্ব প্রতিনিধি : জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে জামালপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে জামায়াতে ইসলামী জামালপুর শহর শাখার উদ্যোগে ১৮ ফেব্রয়ারি সোমবার বিকাল ৪ টায় গেইটপাড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
জামালপুর শহর শাখার আমীর খন্দকার মুকাদ্দাস আলীর সভাপতিত্বে ও শহর সেক্রেটারি মিছবাহুর রহমান কাওসার এর পরিচালনায়
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের জেলা আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুস সাত্তার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা আমীর এডভোকেট নাজমুল হক সাঈদী, জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক খলিলুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি এডভোকেট আব্দুল আওয়াল।
আরো বক্তব্য রাখেন জেলার সহকারি সেক্রেটারি এডভোকেট সুলতান মাহমুদ, বায়তুলমাল সেক্রেটারি এডভোকেট ছামিউল হক, শিল্প ও বানিজ্য বিভাগের সেক্রেটারি রশিদুজ্জামান, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এডভোকেট আছিমুল ইসলাম, সদর উপজেলা আমীর হাফেজ শরীফুল ইসলাম, মাদারগঞ্জ উপজেলা সেক্রেটারি ফরহাদ হোসেন, পৌরসভার সমাজ কল্যাণ সেক্রেটারি মাসুম, ১১ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি জিল্লুর রহমান, ৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
জেলা সেক্রেটারি এডভোকেট আব্দুল আওয়াল বলেন,অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলে বলেন, আয়নাঘরসহ সব নিষ্ঠুরতার মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনার ১৭ বছরের কালোযুগে দেওয়া সব মিথ্যা মামলা ও কথিত রায়ে অনেকেই মুক্তি পেলেও জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম কেন এখনো কারাবন্দি।
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে বিচারিক কার্যক্রম সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত উল্লেখ করে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, স্বৈরাচারের আমলে গ্রেপ্তার এ টি এম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তাঁর প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়।
দেশবাসী স্বৈরাচারের কবল থেকে পরিপূর্ণভাবে মুক্তি চায় উল্লেখ করে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশের পর গেইটপাড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বকুলতলা মোড়ে এসে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অথিতির বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।