নিজস্ব প্রতিবেদক দৈনিক জামালপুর বার্তা: জামালপুরে এম এ রশিদ হাসপাতাল ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামালপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা-ভাঙচুর করেছে একদল দুর্বৃত্ত। সেখান থেকে তারা জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে ।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) মধ্যরাতে শহরের সরদারপাড়া এলাকায় বেসরকারি এম এ রশিদ হাসপাতাল ও স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রতিবাদে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে জেলা সদর ও ৬ উপজেলায় ক্লিনিক মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শুক্রবার দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতালটির দুইজন কর্মচারী গেইটপাড় থেকে খাবার নিয়ে আসার পথে দুইটি মোটরসাইকেলকে পিছনে ফেলে চলে আসেন।
এর জের ধরে রাত সাড়ে ১২ টায় দুর্বৃত্তরা একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে এসে আগ্নেয়াস্ত্রসহ শহরের বেসরকারি এম এ রশিদ হাসপাতালে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও কর্মচারীদের মারধর করে।
এ সময় হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষ, অভ্যর্থনা ডেস্ক, বিভিন্ন কাউন্টার, ফার্মেসি, জরুরি বিভাগ, সিটি স্ক্যান, এক্সরেসহ বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করে,এতে ৪ জন কর্মচারী আহত হয়েছেন।
হামলার ঘটনায় রোগী, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে সবাইকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। হাসপাতাল ভাঙচুর শেষে দুর্বৃত্তরা শহরের স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে যায়।
এ সময় বন্ধ থাকা দলীয় কার্যালয়ে হামলা, অস্ত্র প্রদর্শন করে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে এবং বিএনপি নেতাদের নাম ধরে গালিগালাজ করে । খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল এলে তারা পালিয়ে যায়।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন এম এ রশিদ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে জানান, দুর্বৃত্তরা এম এ রশিদ হাসপাতালে কোনো কারণ ছাড়াই হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর করেছে।
এখান থেকে যাওয়ার সময় জেলা বিএনপির বন্ধ কার্যালয়ে হামলা এবং অস্ত্র প্রদর্শন করে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। তারা বিএনপির নেতাদের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আজকের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা যদি বিএনপির নামাধারী হয়ে থাকে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে এমন কর্মকাণ্ডে বিএনপি চুপ করে বসে থাকবে। এটা ভাবার কোনো কারণ নেই, তাছাড়া তারা যদি বিএনপির কেউ হয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সাল মো. আতিক বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।