নিজস্ব প্রতিনিধি : আইনি সহায়তা নিতে প্রতিদিন সাধারণ মানুষ দ্বারস্থ হচ্ছে জামালপুর জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারের কার্যালয়ে। সফলভাবে নিষ্পত্তি হচ্ছে অসংখ্য মামলা। বিনামূল্যে ন্যায় বিচায় পেয়ে সন্তুষ্ট হচ্ছেন সাধারণ মানুষ ।
জানা গেছে, জামালপুর জেলা লিগ্যাল এইড কার্যালয়ে প্রতিদিন আসছে বিচার প্রার্থীরা। পারিবারিক বিবাদ, জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ, স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণ, অভিভাবকত্ব নির্ধারণ, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ নানা বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ এবং খুব দ্রুত অনেক জটিল সমস্যার সমাধান হচ্ছে।
যার ফলে রোধ হচ্ছে সময় ও অর্থের অপচয় ঘরোয়া এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যস্থতায় মিটমাট করা হচ্ছে জটিল মামলা। এতে প্রায় ভেঙে যাওয়া অনেক সংসার রক্ষা পাচ্ছে। আদালতের মাধ্যমে মামলার ফয়সালা হলেও দুই পক্ষের মধ্যে শত্রুতা চলতে থাকে বংশপরম্পরায়। সেক্ষেত্রে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে মীমাংসা হলে দুই পক্ষের শত্রুতাও দূর হয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার গুশের পাড়া এলাকার এক মহিলা দৈনিক বাংলার সময় কে বলেন, তার স্বামী মাঝেমধ্যেই যৌতুকের জন্য তার সাথে খারাপ ব্যবহার করতো। অনেক সহ্য করার পর অত্যাচারের মাত্রা চরমে পৌঁছালে তিনি লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে বিচার প্রার্থনা করেন।
তার অভিযোগ আমলে নিয়ে লিগ্যাল এইড অফিস তার স্বামীকে নোটিস দিয়ে ডেকে মামলার জটিলতা সম্পর্কে বুঝিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে উদ্বুদ্ধ করে। পরে সফলভাবে তাদের মামলার সমাপ্তি ঘটে। বিচার পেয়ে স্বামী স্ত্রী উভয়ই খুশি।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার, সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মদ আল মামুন দৈনিক জামালপুর বার্তা ডটকম কে বলেন, আইনের সেবা দিতে জামালপুর জেলা লিগ্যাল এইড অফিস বদ্ধপরিকর।
এখানে সবাই বিনামূল্যে আইনের সেবা পাবে। বর্তমান সরকারের উদ্যোগে লিগ্যাল এইড অফিস কে এমন পর্যায়ে নেয়া হয়েছে এখানে ধনী-গরীব সবাই এসে তাদের বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারছে।
এখানে ৩৬ জন প্যানেল আইনজীবী রয়েছে তাদের মাধ্যমে ধনী গরিব যেকোনো মানুষ ফৌজদারি বা দেওয়ানি, মামলা করতে পারছে।
তিনি আরো বলেন ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মোট এডিআর নিষ্পত্তি ১১৪৯ টি,
ফৌজদারি দেওয়ানী ও পারিবারিক মামলায় প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৬২৬ টি, উপকারভোগীর সংখ্যা ৬০১৭ জন, আইনি পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে ২০৯৮ জনকে,অর্থ আদায় করে দেওয়া হয়েছে ৩,০৭,৮৪,১০০( তিন কোটি সাত লক্ষ্য চুরাশি হাজার একশত টাকা
সচেতন মহল বলছেন, লিগ্যাল এইড সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। ঘরোয়া এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যস্থতায় মিটমাট করা হয় জটিল মামলা। এতে প্রায় ভেঙে যাওয়া অনেক সংসার রক্ষা পাচ্ছে। মানুষের কষ্ট দূর হচ্ছে। লিগ্যাল এইড অফিসে জনবল সংকট নিরসনের দিকেও নজর দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল ।