বকশীগঞ্জে নিহত রিপনের লাশ উত্তোলনে পরিবারের বাধা

doinikjamalpurbarta

ইমরান সরকার বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি :বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার অভিযোগে দায়ের করা রিপন মিয়া হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার জন্য আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করতে এসে পরিবারের বাঁধায় ফিরে এসেছেন ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের নির্দেশে বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্রাজোর ইউনিয়নের পানাতিপাড়া গ্রামে নিহত রিপন মিয়ার লাশ উত্তোলন করতে আসেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা-উল হুসনা ও তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম। এসময় রিপনের বড় ভাই মামলার বাদী সরকার আকতার হোসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে লাশ উত্তোলনে বাঁধা প্রদান করেন। পরে বাদীর বাঁধার মুখে লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে আসেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা জানান, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে আমরা রিপন মিয়ার লাশ উত্তোলন করতে এসেছিলাম। কিন্তু রিপনের বড় ভাই ও মামলার বাদী সরকার আকতার হোসেন বাঁধা প্রধান করেন। এবিষয়ে বিজ্ঞ আদালতের পরবর্তী নির্দেশনা পেলে সে মোতাবেক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খাইরুল ইসলাম জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রিপনকে ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়। তাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লাশ উত্তোলনের আবেদন করা হলে গত ২৯ জানুয়ারি রিপনের লাশ উত্তোলনের নির্দেশ প্রদান করেন। তার প্রেক্ষিতে আজ আমরা লাশ উত্তোলন করতে আসি।

মামলার বাদী সরকার আকতার হোসেন বলেন, রিপন গুলি খেয়ে মারা গেছে এটার প্রমাণ আছে আমার কাছে। লাশ উত্তোলনের ব্যাপারে আমাকে আগে থেকে কিছুই বলা হয়নি। তাই বাঁধা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, রিপন মিয়া গত বছররের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার উত্তরায় পুলিশের গুলিতে মারা যায় দাবি করে ২৭ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেন রিপনের বড় ভাই সরকার আকতার হোসেন।

নিহত রিপন মিয়া বকশীগঞ্জ উপজেলার চরকাউরীয়া সীমারপাড়া এলাকার মৃত রেজাউল করিমের ছেলে।

SHARES

ফেসবুকে অনুসরণ করুন

আরো পোস্টঃ