মোঃ বিপুল হোসেন
নান্দিনা প্রতিনিধি
জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের রনরামপুর পূর্ব টেকিপাড়া গ্রামের প্রধান রাস্তার প্রায় ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায় এ রাস্তাটি।
এলাকাবাসী জানায়, বৃষ্টি হলেই কাঁদা-পানির সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানি ও মাটি মিশে কাদায় একাকার হয়ে যায় পুরো রাস্তা। এতে বিপাকে পড়েন ওই এলাকার শত শত মানুষ। স্বাধীনতার এত বছর পরও কাঁচা রাস্তাটিতে ইটের ছোঁয়া না লাগায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। মুল সড়ক থেকে ২০০ মিটার ইটের সলিং হলেও বাকী অংশটুকু কাঁচা রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, রনরামপুর পূর্বপাড়া গ্রামের চানু মিয়ার বাড়ী হতে প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিকল্প কোনো পথের ব্যবস্থা না থাকায় কাদা মাড়িয়েই চলাচল করতে হয় স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী,নানা পেশাজীবি মানুষ, বৃদ্ধসহ অন্যান্য সবার। ব্যক্তিগত গাড়ী নিয়ে চলাচল করা যায় না।
সারা বছরের প্রায় ৫/৬ মাস ভোগান্তির শিকার হতে হয় গ্রামবাসীদের। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হয় তাদের। এই এলাকার মানুষের আতঙ্ক ও ভয়ের আরেক নাম বৃষ্টি। বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে কাদা, কিছু কিছু স্থানে গর্ত সৃষ্টি হয়ে গাড়ী চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠে। কাদার জন্য গ্রামের এ রাস্তায় কোনো অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, ভ্যান-রিকশা ঢোকে না। মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলে তো দূরে থাক, খালি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও দায়। বৃষ্টির দিনে গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনো যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্সও এখানে ঢুকতে পারে না।
ওই গ্রামের আলামিনসহ আরও অনেকে জানান,সামান্য বৃষ্টি হতে না হতেই রাস্তার পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। বর্ষার মৌসুমে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা আমাদের জন্য কষ্টদায়ক। এমন পরিস্থিতিতে কি করে চলাচল করব আমরা কিছুই বুঝে পারি না। ব্যক্তিগত মোটর সাইকেল, অটোরিকশা বর্ষায় বাড়ীতে নেওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোনো ফল হয়নি। তাদের কাছে অনুরোধ আমাদের এই রাস্তার দিকে একটু নজর দেওয়ার জন্য।
বিষয়টি নিয়ে শরিফপুর ইউনিয়নের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইমদাদুল হক মিলনের যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গত কয়েক বছর আগে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ৭ নং ওয়ার্ডের রনরামপুর পূর্বপাড়া গ্রামের রাস্তাটি ৫০০ মিটার ইটের সলিং করা হয়। বাকী রাস্তার অংশটুকু কাচা রয়েছে। বৃষ্টি হলে চলাচলের অসুবিধা হয় সে বিষয়ে আমার জানা রয়েছে। ভবিষ্যতে রাস্তার কাজের প্রকল্প অনুমোদন হলে পূর্ব টেকিপাড়া পর্যন্ত ইট/ পিচ দ্বারা সংস্কার করার পরিকল্পনা রয়েছে আমার।