জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুর সদর উপজেলার বাশচড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও বাশচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনি কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলেন স্থানীয়রা।
দলীয়পদ ব্যাবহার করে স্বেচ্ছাচারিতা,স্কুলেনিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে পরিবারের চারজন কে চাকরি প্রদান,স্কুলে উপস্থিত না হয়ে বেতন উত্তোলনসহ নানান দূর্নীতি অভিযোগ এনে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন ছাত্র/ছাত্রীদের অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে স্কুল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী।
এসময় এলাকাবাসীরা জানান,মনিরুজ্জামান মনি স্কুল ২০ শতক জমি দান করে কেরানী পোস্টে চাকরি নিয়ে বনে যান স্কুলের হর্তাকর্তা,ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির প্রভাবে কেরানী পদে চাকুরীর পরও সহকারী শিক্ষক হন এবং দুই পদের বেতন তুলতে আত্মসাৎ করেন পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তার একটি পদ (কেরানী পদে)র বেতন সরকারি কোষাগারের জমা দেন। আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে তার পরিবারের ৩জন কে স্কুলে বিভিন্ন পদে চাকুরী পাইয়ে দিয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে অনুপস্থিত থেকে কয়েক দিন পরপর এসে ইচ্ছে মাফিক সাক্ষর করে বেতন উত্তোলন করে আসছেন। তার এই স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন স্কুলের অন্য শিক্ষকরা। তিনি এই স্কুলে নিয়োগ বানিজ্য ও স্কুলের বাৎসরিক বরাদ্দের প্রায় ৫০ লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
তারা আরো অভিযোগ করে বলেন,তিনি অসুস্থতার অযুহাতে একটি ছুটির আবেদন করেই
প্রায় একমাস যাবৎ স্কুলে অনুপস্থিত আছেন। এতে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
এবিষয়ে স্কুলে প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ হারুন অর-রশিদ জানান,আমি তিন মাস হলো যোগদান করেছি যোগদানের পর মনিরুজ্জামান কে ৫ থেকে ৭দিন স্কুলে দেখেছি। গত মাসে চিকিৎসা জনিত কারণে মনিরুজ্জামান একটি ছুটির আবেদন করেন সেই আবেদন আমি ইউএও স্যারের কাছে জমা দিয়েছি। যেহেতু তার ছুটি বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিষয়টি ইউএনও স্যার কে বলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা ও শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন, এলাকাবাসী যদি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তাহলে আপনারা লিখেন।
বিষয় গুলো তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষক মনিরুজ্জামানে শাস্তির দাবি করেছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।