নিজস্ব প্রতিনিধ দৈনিক জামালপুর বার্তা জামালপুরঃ
জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়নের রশিদপুর ভাটিপাড়া এলাকায় আনন্দ নামে এক হোটেল শ্রমিককে মারধর করে বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।এই অভিযোগ আনন্দ মিয়ার আপন চাচা শাহজাহান আলী সাজে বুইড়া নেতৃত্বদলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বুধবার দুপুরে রশিদপুর ভাটিপাড়া এলাকায় সরেজমিনে গেলে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে ভোক্তভোগি আনন্দ মিয়া বলেন,আমার আপন চাচা আব্দুল হামিদ টুরু মিয়া মৃত্যুর আগে আমাকে বসতঘর তুলে থাকার জন্য চার শতক জমি দান করে যান। এতে তিনি আনন্দ মিয়া ওই জমিতে একটি হাফ বিল্ডিং নির্মান করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিল। ঘটনার দিন,মঙ্গলবার সকালে চাচা শাহজাহান আলী ওরফে সাজে বুইড়া নেতৃত্বদল ঘরে আসবাবপত্র ভাংচুর, নগদ টাকা ও স্বর্ণের গহনা লুট করে নিয়ে
আনন্দর বসতঘরে তালা লাগিয়ে দেন।
এত বাঁধা দিতে গেলে আনন্দ,তার মা আমেনা বেগম,বোন রেখা বেগম ও চায়না বেগমকে পিটিয়ে আহত করে।
পরে আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।এ ব্যাপারে আহত রেখা বেগম বলেন,আমি ও আমার সহোদর ভাই আনন্দ মিয়া, আমাদের চাচাতো বোন মনিকা বেগম ও শেফালী বেগমকে থেকে ১২ শতাংশ জমি ক্রয়করা বাবদ ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বায়নাপত্র করি।
কিন্তু এতে বাঁধা সৃষ্টি করেন শাহজান আলী সাজে বুইড়া ও তার ছেলে কাওসার,গনি মিয়ার পুত্র সুজন ও মৃত মিলন মিয়ার পুত্র পিয়াস নেতৃত্বদল।তারা অন্যত্র থেকে বেশি টাকা নিয়ে মনিকা বেগমদের জমি বিক্রি দেয়ার নামে ষড়যন্ত্র করছে।
এ বিষয়ে মনিকা বেগম বলেন, আমার চাচাতো ভাই আনন্দ জমি বিক্রি জন্য ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বায়না নিয়েছি।আমি এবং আমার বোন আনন্দকে নিকট জমি বিক্রি করবো।
এ ব্যাপারে নারায়নপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই আব্দুল করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনায় আব্দুল হামিদ টুরু মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম বলেন, আমার শুধু ৮ জন কন্য সন্তান রয়েছে,আমাদের কোন পুত্র সন্তান না থাকায় আমার স্বামী ভাতিজা আনন্দ মিয়া মাথা গুজার ঠাঁই দেয়ার জন্য মৌখিকভাবে চার শতক জমি দিয়েছি।কিন্তুু আনন্দের তিন বোন এরা ঝগড়াটা,ভালনা,তাই আনন্দেনের বোনদের জন্য তাকে আর জমি দেয়া হবে না এবং তারা বাড়িতে থাকতে দেয়া হবেনা। এইজন্য তাদের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।