শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: শেরপুরের নকলা উপজেলায় পিকআপ-সিএনজি সংঘর্ষে নারী ও পুরুষসহ ৪ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় সিএনজির চালকসহ আরো ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১৩ নভেম্বর (বুধবার) বেলা ১২ টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কের নকলা উপজেলার পাইস্কা বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার লাউদানা এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের কন্যা তায়েবা (১০), শেরপুর সদর উপজেলার পালাশিয়া এলাকার সুলতান মিয়ার পুত্র তাজেন মিয়া (১৫) ও ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কাজিয়া কান্দা এলাকার সুলতান মিয়ার স্ত্রী সুবিনা বেগম (২০) ও ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সাহাপুর এলাকার আবুল কাসেমের পুত্র আলাল উদ্দিন (৩৫)। আহতরা হলেন, নিহত তায়েবার বড় বোন তোয়া (১৬), ছোট ভাই আদনান ছাবিদ (৩), মা উম্মে সালমা (৪০)।
স্থানীয়সূত্র ও পুলিশ জানায়, নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লাউদানা এলাকার উম্মে সালমা তার দুই মেয়ে ও শিশুপুত্রকে নিয়ে দুইদিন আগে শেরপুরের এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসে। আজ বুধবার ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে সিএনজি যোগে রওনা হন। এ সময় সিএনজিতে অন্যান্য যাত্রীরা উঠেন। বেলা আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে নকলার গড়েরগাও থেকে পাইস্কা বাইপাস হয়ে ময়মনসিংহ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কে সিএনজি চালক উঠার সময় দ্রুতবেগে আসা ময়মনসিংহ-শেরপুরগামী পিকআপটি ধাক্কা দিলে সিএনজিটি ধুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান তায়েবা ও তাজেন মিয়া। এসময় সিএনজি চালকসহ সবাই আহত হলে স্থানীয়রা প্রথমে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতের অবস্থা গুরুতর ও মুমূর্ষু অবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে পথিমধ্যে সুবিনা বেগম ও আলাল উদ্দিন মারা যান। অন্যরা ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবর রহমান বলেন, আজ দুপুরে নকলার পাইস্কা বাইপাসে সিএনজি-পিকআপের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যায়। আরো আহত ৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আরো ২জন ময়মনসিংহ মেডক্যিাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পিকআপের চালক পলাতক রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সিএনজি ও পিকআপটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনা হইছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।