শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: খ্রীষ্টান ধর্মাম্বলীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব “শুভ বড় দিন” যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্ত জনপদের পাহাড়ি গ্রামগুলোতে ।
মঙ্গলবার (২৪ডিসেম্বর) রাতে নিশি জাগরনী খ্রীষ্টযাগের মধ্যে দিয়ে উৎসবের সূচনা করা হয়। বড়দিন উপলক্ষে উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি গ্রামের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ৯ টি গির্জার অনুষ্ঠিত হয় প্রার্থনা, আলোচনা সভা ও কীর্তনের।
পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বসবাসরত খিষ্টান সম্প্রদায়ের আদিবাসীদের বাড়িঘরে চলে রাতভর কীর্তন ও বড়দিনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান।
শুভ বড় দিন উপলক্ষে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে মঙ্গলবার রাতে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে হারিয়াকোনা, বাবেলাকোনা, দাসিকোনা সহ পাহাড়ি গ্রামগুলোর বসবাসরত আদিবাসীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল।
বড়দিন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পর্যবেক্ষণ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং গির্জা সমূহ পরিদর্শন করেন শেরপুরের পুলিশ সুপার মো: আমিনুল ইসলাম।“শুভ বড় দিন” নির্বিঘ্নে পালনে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
উপজেলার বাবেলাকোনা ব্যাপিস্ট গির্জা, দাসিকোনা ক্যাথলিক গির্জা, দক্ষিণ হারিয়াকোনা ব্যাপীস্ট গির্জা, উত্তর হারিয়াকোনা ক্যাথলিক গির্জা সহ সিংগাবরনা ইউনিয়নের ৬ টি ও রানীশিমুল ইউনিয়নের খাড়ামোড়া ক্যাথলিক গির্জা, বালিজুরী খিস্টান পাড়া ব্যাপ্টিস্ট গির্জাসহ ৩ টি গির্জায় এ বছর বড়দিন উদযাপিত হয়।
উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন একাংশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লেবানুস মারাগ বলেন, বড়দিন উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের সহযোগিতা করা হয়। আমরা নিবিঘ্নে প্রতিবছরের মত এবারও বড়দিনের উদযাপন করেছি।
ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন একাংশের চেয়ারম্যান সুশীল নকরেক বলেন, এ বছর সীমান্ত জনপদের ৯ টি গির্জায় যথাযথ মর্যাদায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণ শুভ বড়দিন উদযাপিত হয়।
খ্রীষ্টান ধর্মাম্বলীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে আদিবাসী পল্লীগুলোতে নানা সাজে সজ্জিত করা সহ আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে আদিবাসীরা।