শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: অতি সম্প্রতি অবিরাম কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে আকস্মিক বন্যায় শ্রীবরদী সীমান্তের বালিজুরী গ্রামে ভারত থেকে বয়ে আসা সোমেশ্বরী নদীর পাশে বসবাসকারী ক্ষতিগ্রস্ত এক দিন মজুর পরিবারের পাশে দাড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও উদয়ন গ্রুপের কর্ণধার মো. মাহমুদুল হক মনির।
গত ২১ শে অক্টোবর (সোমবার) বিকেলে শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী রানীশিমুল ইউনিয়নের পাহাড়ী ঢলে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খাড়ামোড়া, রাঙ্গাজান ও সোমেশ্বরী নদীর তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শন করেন জাতীয় পার্টির নেতা মো.মাহমুদুল হক মনির।
পরিদর্শন কালে জাপা নেতার ব্যক্তিগত অর্থায়নে বালিজুরী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সোমেশ্বরী নদীর পাড়ে বসবাসরত হত দরিদ্র ঘোড়াগাড়ী চালক ময়লান মিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত বসত বাড়ি দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন।
এসময় মাহমুদুল হক মনির বলেন, ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ বন্যা কবলিত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি ছুটে গেছেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে ত্রাণ নিয়ে।
এ পাহাড়ী অঞ্চলে গত কয়েকদিনের পাহাড়ী ঢলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসল।
আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে আজ শেরপুর সদর উপজেলা, ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়
গিয়ে পরিবারগুলোর পাশে এসে দাঁড়িয়েছি
এবং সাধ্যমত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।
এসময় তার সাথে ছিলেন শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক যুব সমাজের অহংকার এসএম আশরাফ, ঝিনাইগাতী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, শ্রীবরদী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক মুহম্মদ আব্দুল্লাহ রানা, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সংগঠনিক সম্পাদক ছোর মাহমুদ, জাপা নেতা জুয়েল, সংবাদ কর্মী এসডি সোহেল রানা, সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা সহ জাপা নেতৃবৃন্দ ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা।
উল্লেখ্য অতি সম্প্রতি কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও
পাহাড়ি ঢলে ভারত থেকে বয়ে আসা সোমেশ্বরী নদী তীরবর্তী বালিজুরী গ্রামে বসবাসরত মৃত নিলমন মিয়ার পুত্র দিনমজুর ঘোড়াগাড়ী চালক ময়নাল মিয়ার বসবাসের একমাত্র ঘরটি ভেঙে যায়। ফলে তিন কন্যা, ১ পুত্র , বৃদ্ধা মা ও স্ত্রীকে নিয়ে চরম মানবতার ভাবে তাকে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা ময়নাল মিয়া পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি । ২৫ শতক জমি থাকলেও ঘোড়া গাড়ী চালিয়ে তাকে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়।