নিজস্ব প্রতিবেদক, দৈনিক জামালপুর বার্তা
দেশের উত্তর জনপদের পঞ্চগড়ে চা চাষ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও সিলেটের পর পঞ্চগড় অন্যতম চা অঞ্চল হিসেবে এরই মধ্যে দেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। পঞ্চগড় ইতোমধ্যে দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। একসময়ের পতিত গো-চারণ ভূমি ও দেশের সবচেয়ে অনুন্নত জেলা এখন চায়ের সবুজ পাতায় ভরে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে চোখ জুড়ানো নৈসর্গিক সৌন্দর্য।
পঞ্চগড় জেলা সদর থেকে তেঁতুলিয়ার দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। যাত্রা পথে চোখ জুড়িয়ে যাওয়া সবুজ, সুন্দর রাস্তা চা বাগানে যাওয়ার আগেই যেন অন্য রকম এক ভালো লাগার রাজ্যে নিয়ে যায়। আর তাই পঞ্চগড় বেড়াতে আসলে সাধারণত কেউই চা বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভুল করেন না।
এখানে যেতে হলে, তেঁতুলিয়া বাস স্টপ হতে লোকাল পরিবহণে কমলা ও চা বাগান দেখতে যেতে পারবেন। ঢাকা থেকে সরাসরি তেঁতুলিয়া যেতে চাইলে হানিফ অথবা বুড়িমারী এক্সপ্রেস বাসে যাওয়া যাবে। এছাড়া পঞ্চগড় হয়ে তেতুলিয়া যেতে পারবেন। ঢাকার শ্যামলী, ও গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে নাবিল পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইস, তানযিলা ট্রাভেল, বরকত ট্রাভেল এ পঞ্চগড় যেতে পারবেন। ট্রেনে পঞ্চগড় যেতে চাইলে ঢাকার কমলাপুর থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, একতা ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে আসতে পারেন।
থাকবেন যেখান, তেতুলিয়ায় কাজী ব্রাদার্স হোটেল ও সীমান্তের পাড় নামে দুইটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলে রয়েছে নন এসি রুম।
জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ডাকবাংলো কিংবা তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্নারে রাত্রিযাপন করতে পারবেন। বাংলোতে রাতে থাকতে গেলে আবার অফিস চলাকালীন সময়ে পঞ্চগড় জেলা পরিষদ সচিব অথবা তেতুলিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করে অগ্রিম বুকিং দিতে হয়। এমন জটিলতার জন্য পর্যটকেরা পঞ্চগড় জেলা শহরের আবাসিক হোটেলগুলোতেই রাত্রিযাপনের উদ্দেশ্যে ফিরে যায়।
কোথায় খাওয়া যাবে, তেঁঁতুলিয়া বাস স্ট্যান্ডের আশেপাশে মোটামুটি মানের খাবার হোটেল আছে। এছাড়া পঞ্চগড় শহরে খাবার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল পাবেন তবে মৌচাক হোটেলের খাবার খেয়ে দেখতে পারেন।
আশেপাশে আরও দেখা যাবে, মহারাজার দিঘী,
মির্জাপুর শাহী মসজিদ, ভিতরগড় দুর্গনগরী,
গোলকধাম মন্দির, বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট,
বার আউলিয়া মাজার শরীফ, তেঁতুলিয়া ডাক-বাংলো।