নিজস্ব প্রতিবেদক : জামালপুর সরিষাবাড়ি উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ বিভিন্ন পরিচয়ে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ আওয়ামীলীগ কর্মী। আওয়ামী লীগ করায় সুবাধে স্থানীয় এমপি মন্ত্রীর মনোরঞ্জন করে তিনি বিভিন্ন উপায়ে সরিষাবাড়ি মাহমুদা সালাম মহিলা,কলেজে প্রভাষক হিসেবে যুক্ত হোন। যুক্ত হওয়ার কিছু দিন পরই ওই কলেজের বিভিন্ন অর্থ কেলেঙ্কারির দায়ে কলেজে থেকে বহিষ্কার হোন।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহমুদা সালাম মহিলা,কলেজের অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামান বলেন আমার নিয়োগের আগেই সে চলে গেছে শুনেছি অর্থ লোপাট এর কারনে তাকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তী তিনি ইসলামি ব্যাংক ভাটারা শাখা সহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন সেখানেও বেশি দিন কর্ম করতে পারেন না শুরু করেন প্রতারনা কোটি টাকা লোপাট করেন পালিয়ে যান ঢাকায়।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে আ.লীগ নেতা হারুন দৈনিক জামালপুর বার্তা ডটকমকে মুঠোফোনে বলেন আমি রাজনৈতিক দলের গ্রুপিং এর কারণেই বহিষ্কৃত হয়েছে কলেজ থেকে তবে আমি কোন রাজনৈতিক কর্মী না।
আমাকে নিয়ে সঠিক প্রমাণ ছাড়া কোন সংবাদ প্রকাশ করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করিব।
রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এই হারুন ছাত্রলীগ হতে যুবলীগ পরে আওয়ামী লীগের সাথে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠলেও তাকে সবাই একজন সুবিধাভোগী আ.লীগ কর্মী হিসেবেই জানতো এলাকাবাসি।
তিনি সরিষাবাড়ি আসনের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ড.মুরাদ হাসানের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে সবার সামনে আসলেও পরবর্তী তে তার বিভিন্ন উৎস হাসিলের জন্য মুরাদ হাসানের থেকে সরে এসে সাবেক এমপি অধ্যাক্ষ আব্দুর রশিদের সাথে তাল মিলিয়ে রাজনীতি সক্রিয় হোন।তাছাড়াও জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার সাথে ছিলো এই হারুনের উঠাবসা।
স্থানীয়দের দাবি এই হারুন রাজনৈতিক পরিচয়ে বিভিন্ন ভাবে শিক্ষকতা পেশায় এসেও কলেজ থেকে টাকা লোপাট সহ,পরবর্তী ব্যাংকে কাজ করেও টাকা চুরির ঘটনা ঘটায় সেইসাথে তিনি এনজিও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও সাধারণ মানুষের থেকেও বিভিন্ন কায়দায় টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়।।