রৌমারী প্রতিনিধি : ২৮ কুড়িগ্রাম ৪ আসনে মমতাজ হোসেন লিপি ধানের শীষ প্রর্তীকে নির্বাচন করতে চান। এব্যাপারে জেলা বিএনপি, উপজেলা বিএনপিসহ রৌমারী রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলার সকল ভোটার ও এলাকাবাসীর দোওয়া ও সমর্থন কামনা করেছেন।
মমতাজ হোসেন লিপি রৌমারীতে এক ত্যাগী সংগ্রামী রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রৌমারীর চরের বুকে নারী নেতৃত্বের কান কথা কুসংস্কার ছিন্ন করে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম নির্যাতন উপেক্ষা করে তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে সভা সমাবেশ মিছিলে পেটুয়া বাহিনীর বন্দুকের নলকে তুচ্ছ ভেবে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া নেতার নাম মমতাজ হোসেন লিপি।
মমতাজ হোসেন লিপি নারী নেতৃত্বে রৌমারী চিলমারী ও রাজিব পুর উপজেলার একমাত্র নারী । মমতাজ হোসেন লিপি পারিবারিক সুত্রে ৪ দশকের রাজনৈতিক খ্যাত জনকল্যাণমুখী পরিবারিক সুত্রে একমাত্র নারী নেতৃত্বের অধিকারী ।
পৈত্রিক সুত্রে, তার পিতা আলহাজ্ব গোলাম হোসেন তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। সে সময়ে থানা লুট করে অস্ত্র হাতিয়ে নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এমন সাহসী ভুমিকা নিয়েছিলেন।
দেশ স্বাধীনতার পরবর্তি সময়ে জনসেবা করতে ২ বার ইউপি চেয়ারম্যান, ২বার উপজেলা চেয়ারম্যান, ও দুই বার এমপি ছিলেন। তার চাচা রুহুল আমিন ও এমপি ছিলেন। যাদের রাজনৈতিক গুণাবলি, মানুষের সাথে অবাধ খোলামেলা সৌহার্দপূর্ণ আচরণ আজও মানুষের মনে অম্লান হয়ে রয়েছে।
দির্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনে তাদের নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। ৪০ বছরের রাজনীতি তাদের পরিবারের জন্য এটা এক বিশাল আর্শিবাদ অর্জন। ভোটের ক্ষেত্রে মমতাজ হোসেন লিপির জন্য রাজনৈতিক মাঠ অত্যান্ত উর্বর। তাই মমতাজ হোসেন লিপি পৈতিক সুত্রে পিতার রাজনৈতিক মাঠ নিজের রাজনীতিতে স্থান করে নিয়েছেন।
কথায় আছে পিতার গুনে পুত্রের জয়। এমন সুযোগ লুফে নিতে রাজনৈতিক জীবন বেঁচে নেয় মমতাজ হোসেন লিপি। মমতাজ হোসেন লিপি ১৯৭৯ সালে রৌমারী উপজেলার বারবান্দা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি মরহুম আলহাজ্ব গোলাম হোসেনের একমাত্র কন্যা।
মমতাজ হোসেন লিপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এস এস ( অর্নাস) এম এস এস রাষ্ট বিজ্ঞান, ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে এল এল বি করেন। রাজনৈতিক ভাবে মমতাজ হোসেন লিপি সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটি ঢাকা।
সহসভাপতি রৌমারী উপজেলা বিএনপি,১ নং সদস্য জাতীয়তাবাদী মহিলাদল কুড়িগ্রাম জেলা শাখা। তিনি শিক্ষাদীক্ষা জন সম্পৃক্ততা রাজনৈতিক ভাবে গণসংযোগেও এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন। তিনি একজন সাহসী সংগ্রামী উদ্যোমী নারী নেতিত্র। নারীর অধিকার আদায়ে এবং অবহেলিত চিলমারী রৌমারী ও রাজিবপুরের মানুষের অধিকার আদায়ে এবং সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে ২৮ কুড়িগ্রাম ৪ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করতে চান।
আসনটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জন্য উর্বর। যদিও বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এ আসনটি বিএনপির কোন প্রার্থি জয়লাভ করতে পারেনি। তার মুল কারণ প্রার্থি জরিপে ভুল সিদ্ধান্ত বলে সুধিজন ধারনা করেন। এখানে প্রার্থিতা যাচাই কখনো পক্ষ পাতিত্য না করে দল,গোত্র, আঞ্চলিকতা বিশদ বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রার্থি নির্ধারণ করতে হবে। এখানে ৪০ বছরের শাসনামল গ্রহন যোগ্যতা, ভোট ব্যাংক গোত্র ইজম ভিত্তিক ও এলাকা জরিপে মমতাজ হোসেন লিপি সবার উপরে। পৈত্রিক সুত্রে রাজনৈতিক মাঠ তার জন্য ব্যাপক সারা জাগাবে। সুদীর্ঘ সারে ১৫ বছর আওয়ামিলীগের শাসনামলে সাহসী অগ্নি কন্যা খ্যাত, মমতাজ হোসেন লিপি দূর্বার গতিতে তৃণমূলের মানুষের সাথে কখনো খুলি বৈঠক, কখনো পায়ে হেটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। যারফলে মমতাজ হোসেন লিপিকে ২৮ কুড়িগ্রাম ৪ আসনটিতে বিএনপির মনোনয়ন দিলে তার জন্য জয়লাভ অতি সহজ হবে। তিনি বিগত সরকারের জেল জুলুম খুন গুম দলীয় প্রচারণা নিষিদ্ধের মধ্যেও ফ্যাসিস্ট সরকারের আগ্রাসী আক্রমণ উপেক্ষা করে কৃষক দল, মহিলাদল গঠন ও আরো অনেক অঙ্গ সংগঠনের কাঠামো তৈরিতে চিলমারী রাজিব পুর ও রৌমারীতে ব্যাপক সময় দিয়ে তৃণমূল বিএনপির মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়ে সকলকে ধৈর্য সহকারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পতাকাতলে সমবেত থাকতে সাহস যোগীয়েছেন। সেই অগ্নি কন্যা মমতাজ হোসেন লিপি। ভোটের জরিপে লিপিকে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। চিলমারী, রৌমারী ও রাজিব পুরসহ ৩ উপজেলা মিলে ২৮ কুড়িগ্রাম ৪ সংসদীয় আসন। ৩ উপজেলার ভোটের হিসাব দেখাগেছ, রাজিব পুরে ভোটের সংখ্যা ৬০ হাজার ৬৪৮ জন,চিলমারীতে ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৯ হাজার ৪৪৪ জন রৌমারীতে ভোটের সংখ্যা ১লাখ ৬৮ হাজার ৪১৪জন। এদিকে রৌমারীতে শোনা যাচ্ছে একই পরিবারে আপন সহদর ভাইয়ে ভাইয়ে দুইজন দুই দলের প্রার্থি। যেমন মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক জামাত মনোনীত একক প্রার্থি। তারই আপন বড় ভাই আলহাজ্ব আজিজুর রহমান বিএনপির প্রার্থি হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। জামাত রৌমারীতে আগের তুলনায় অনেকটা গণসংযোগে এগিয়ে এবং মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। ঠান্ডা মাথায় জামাত সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তৃণমূলের মানুষ ভাত কাপড় চায়না, তৃণমূলের মানুষ নেতৃত্বের পরিবর্তন চায়। যে নেতা তাদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখবে,বিপদে আপদে তাদের পাশে থাকবে এমন নেতৃত্ব তাদের চাওয়া। তবে সরেজমিন জরিপে এবার মানুষের মাঝে রৌমারীতে ভোট বিপ্লবের ধারণা করা হচ্ছে। দীর্ঘ ৪ টি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে না পারায় হতাশার মাঝে আশার স্বপ্ন দেখছেন। তবে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি হতে মমতাজ হোসেন লিপি কে ধানের শিষ প্রর্তীক দিলে কুড়িগ্রাম ৪ আসনটি উদ্ধারের শতভাগ নিশ্চয়তা দেওয়া যেতে পারে।