নিজস্ব প্রতিবেদক
৯নং রানাগাছা’র চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ,
জামালপুর সদর উপজেলার ৯নং রানাগাছা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউ.পি) চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল’র বিরুদ্ধে শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৯নং রানাগাছা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের চর গোবিন্দবাড়ী গুচ্ছ গ্রামের নতুন ঘড় নির্মাণের জন্য মাটি কাটার জন্য ১৭ জন শ্রমিক দিয়ে ৩১ দিন কাজ করান ইজিপি প্রকল্পের আওতাধীন।
এ ঘটনায় বুধবার (১২ জুলাই ২০২৩ ইং) দুপুরে শ্রমিক’রা টাকা চাইতে যায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে
চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং মৃত্যুর হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
শ্রমিকদের দলনেতা মোঃ জয়নাল আবেদীন হতাশা হয়ে নিজ বাড়ি ফিরে আসেন ১৭ জন শ্রমিক নিয়ে।
অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে,রানাগাছা ইউনিয়নে কর্মসৃজন প্রকল্পে ১৭ জন শ্রমিক রয়েছেন।
শ্রমিক দলনেতা মোঃ জয়নাল আবেদীন,রাসেল,শাহজাহান, আশরাফ,নারগিস, সপ্বা,লাবনি সহ আরো অনেকেই ।
শ্রমিক’র দৈনিক মজুরি দেওয়ার কথা ছিলো ৬০০ (ছয়শত) টাকা করে।
চেয়ারম্যানসহ তার নির্ধারিত এক জন ইউ.পি সদস্য সুরুজ ফকির মেম্বারকে নিয়ে আত্মসাৎ করেন।
সরোজমিনে ইউ.পি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল এর সাক্ষাৎকার এর জন্য গেলে তাহাকে পাওয়া যায় না ইউ.পি পরিষদে।
পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোন ধরেন না।
দ্বিতীয় বার চেষ্টা করলে ফোনে বলেন যে,আমি কিংবা আমার পরিষদের কোন মেম্বার এর সাথে জড়িত না। এই মাটি কাটার কর্মসূচীটি সরাসরি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম দেখেছেন,এই বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না উনি সবই জানেন।
শ্রমিক দলনেতা মোঃ জয়নাল আবেদীন সংবাদ কর্মী কে বলে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা চেয়ারম্যান এর বরাবর দরখাস্ত করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিন্নাত শহীদ পিংকি
আব্দুল জলিল চেয়ারম্যান
বিরুদ্ধে শ্রমিকদের মাটি কাটার মজুরি না পাওয়ার আবেদন প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের প্রস্তাব প্রাপ্তির শ্রমিকদের মাটি কাটার মজুরি না পাওয়ার আবেদন টি তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছে তদন্ত রিপোর্ট আসলে তার বিরুদ্ধে সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়ছে।
আর ওই তদন্ত কর্মকর্তা কর্তৃক তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি ও ঘটনার সত্যতা সাপেক্ষে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানান।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিজন কুমার চন্দ্র চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল’র
বিরুদ্ধে শ্রমিকদের মাটি কাটার মজুরি না পাওয়ার আবেদন টির প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন যে, আমি বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
৯নং রানাগাছা ইউপি সদস্য মোঃ রমজান আলী বলেন, কোনো ইউ.পি সদস্যকে চেয়ারম্যান নিজ পরিবারের সদস্য মনে করেন না। সরকারের উন্নয়নের সকল অর্থ উন্নয়নের কাজ দেখিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেন।এই ধরনের দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
৯ নং রানাগাছা’র জনগনের বক্তব্য হলো, এমন চেয়ারম্যান আমরা চাই না, যে শ্রমিকের অর্থ আত্মসাত করে। বিশিষ্ট ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিকবীদ ফারুক সাহেব বলেন যে, ৯ নং রানাগাছা’র এমন কোন অবৈধ কাজ নাই যে চেয়ারম্যান করে না।
তিনি আরো বলেন যে, আমরা ৯ নং রানাগাছা সর্বস্তরের জনগণক চেয়ারম্যান আবদুল জলিল এর বহিষ্কার এবং আইন অনুযায়ী শান্তির দাবি জানাচ্ছি।