- জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুরের সরিষাবাড়ি তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানায় ট্রাকে সার লোডিং আনলোডিংয়ে শ্রমিকদের বকশিসের নামে রাজনৈতিক দলের নামধারীরা প্রতিট্রাকে ৬৫০ টাকা হারে চাঁদাবাজি করে আসছিল। শ্রমিকরা তাদের শ্রমের সঠিক মূল্য পেতে ট্রাকে সার লোডিংয়ের কাজ বন্ধ করে প্রতিবাদ জানায়। শ্রমিকদের প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে গণমাধমে সংবাদ প্রকাশ পেলে অবশেষে সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে কারখানার এমডি, প্রশাসন ও বাণিজ্যিক জিএমসহ নিয়োজিত লোডিং ঠিকাদার ও সাধারণ শ্রমিকদের সমন্বয়ে আলোচনায় সিদ্ধান্তে শ্রমিকদের বকশিসের নামে কোন চাঁদা উত্তোলন যাবে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়,সারকারখানায় পতিত সরকারের আমল থেকে রাজনৈতিক দলের ব্যানারে কতিপয় নেতা ট্রাকপ্রতি ড্রাইভারদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা ডিলার প্রতিনিধির কাছ থেকে ৩৫০ টাকা,ট্রান্সপোর্ট এজেন্সী অফিস থেকে ৫০ টাকা মোট ৬৫০টাকা করে চাঁদাবাজি করে আসছিল। ফ্যাসিবাদ সরকার পতনের পর অন্তবর্তি কালিন সরকার প্রতিষ্ঠার পর বিএনপি নামধারী এলাকার প্রভাবশাী নেতা চান মিয়া চানুর নির্দ্দেশে লিটন,অংকনও উজ্জ্বলের নের্তৃত্বে একই কায়দায় চাদাবাজি শুরু করেন। চাদাবাজি বন্ধ করতে অপর বিএনপি নেতা সাইদুর ইসলাম তোতা যিনি কারখানার নির্দ্দিষ্ট লোডিং ঠিকাদার তিনি চাদা বন্ধের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এ কারনে গত ২৯ আগষ্ট চাদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বিএনপির নেতা চান মিয়া চানুর লোকজন হামলা চালিয়ে মারধর করে ৭জনকে আহত করে।
এ নিয়েও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে চাদাবাজি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আনলোড কাজের ঠিকাদার আনোয়ারুল ইসলাম বাবুল ও সাব ঠিকাদার সাইদুর ইসলাম তোতা তারা কর্মরত সকল শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে ১৫ টন সার আনলোড বাবদ শ্রমিকদের ৫৬০টাকার স্থলে ১১শ’১০ টাকা পাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ নিয়ে শ্রমিকরা মহাখুশি আত্মহারা।
এ বিষয়ে শ্রমিক সরদার মনিরুজ্জামান মনি জানান, ১৯৯১ সাল থেকে এ কারখানায় আমরা কুলি শ্রমিকের কাজ করে আসছি। সবাই আমাদের ওপর ভরকরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চাদাবাজি করে কোটিপতি হয়ে গেছে। অথচ আমরা গরীব চিরকাল গরীবই থেকে গেলাম। এই প্রথম নতুন আনলোড ঠিকাদার তোতা ভাই চাদাবাজি বন্ধ করে আমাদের কষ্টের সর্বোচ্চ টাকা দিয়ে আনলোডি কাজ করছেন। আমরা সবাই ঠিকাদারের প্রতি অনেক খুশি।
এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার উপ-ব্যাবস্থাপক (বাণিজ্যিক) ও বিভাগীয় প্রধান (বাণিজ্যিক) আব্দুল হামীন জানান, লেবারদের লোডিং কাজে জটিলতা নিরসন করে বুধবার দুপুর থেকে কারখানা থেকে সার ডেলিভারি শুরু করতে সক্ষম হয়েছি বলে জানান।