নিজস্ব প্রতিনিধিন জামালপুর দৈনিক জামালপুর বার্তা:
জামালপুর পৌরসভার পলাশগড়ে বাল্যবিবাহকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মজনু মিয়া (২৫) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এই ঘটনায় রিপন মিয়া (২৭) ও অন্তর আলী (২৩) আহত হয়।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সারে ৫ টার দিকে পৌরসভার পলাশগড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মজনু মিয়া পলাশগড় দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত মুনসুর আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামালপুর পৌরসভার পলাশগড় গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে সজিব মিয়া (১৮) এর সাথে দীর্ঘদিন যাবত একই এলাকার উজ্জ্বল মিয়ার মেয়ে আসমানী (১৫) এর সঙ্গে বিবাহ দেওয়া জন্য পায়তারা করে আসছেন তার পরিবার। ছেলে ও মেয়ের বয়স কম হওয়ায় ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে বিবাহ বন্ধনে অসম্মতি প্রকাশ করেন ছেলের মা মনোয়ারা বেগম। কিন্তু মেয়ের পক্ষ জোর পূর্বক সজিব এর সাথে বিবাহ দেওয়ার জন্য নানান কৌশল অবলম্বন করে আসছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে দুই পক্ষ এলাকায় একটি গ্রাম্য সালিস ডাকেন। সালিসির লোকজন উপস্থিত হতে দেখে মেয়ের পক্ষের মো. খোকন মিয়া (২১), পিতা আফসর আলী, মো. মিন্টু মিয়া (৪৫), পিতা আকরাম আলী, মো. স্বাধীন, পিতা মিন্টু মিয়া, ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে দেশিও অস্ত্র নিয়ে ছেলের সজনদের উপর ও ছেলের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায় ।হামলায় এলাকাবাসি বাঁধা দিলে এলাকাবাসি লোকদের মধ্যে তিন জন গুরুতর আহত হয়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার জামালপুর সদর থানার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেয়ে পক্ষের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাব্বত কবীর জানান, পলাশগড়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনার খবর শুনেছি। আমরা এখনো কোন অভিযোগ হাতে পায়নি। যদি কেউ অভিযোগ দায়ের করেন তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।