জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুর সদর উপজেলার শাহবাজপুরের গাবতলী বিল থেকে মাছ লুটের মহোৎসব চলছে। গত তিনদিন ধরে ইউনিয়নের সাউনিয়া মৌজার সরকারি ইজারাকৃত এই জলমহল থেকে মাছ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় কুচক্রীমহল। এর আগেও ওই বিল থেকে মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়া হুমকী দেওয়া হয়। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার আগেই গত তিন দিন ধরে মাছ হরিলুট চলছে। এদিকে গাবতলী বিল থেকে প্রকাশ্যে মাছ লুটের ঘটনা ঘটলেও নিরব উপজেলা প্রশাসন বলে অভিযোগ ইজাদারের।
বিলের ইজারাদার খলিলুর রহমান জানান, শাহবাজপুর ইউনিয়নের সাউনিয়া মৌজার জে এল নং-১৩২, ১৫৯ খতিয়ান নং- ০১, ০১ ও ১৩৪৭, ২৩২ নং দাগে মোট ৫.৮৬ একর জমি (জলমহল) বাংলা ১৪৩০-১৪৩২ সাল পর্যন্ত ৩ বছর মেয়াদে ইজারা নিয়ে ডোয়াইল পাড়া সমবায় সমিতির মাধ্যমে মাছ চাষ করছেন তারা। বর্তমানে জলমহলটিতে প্রায় কোটি টাকার মাছ ছিল। ছাত্র জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত গাবতলী বিলের মাছ লুট করার পায়তারা করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে প্রায় ২০০/৩০০ অতর্কিত ভাবে মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি নিয়ে গাবতলি বিলে নেমে পড়ে এবং প্রায় ১০/১২ লক্ষ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এরপর ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর একই কায়দায় আরও উন্নত মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে প্রকাশ্যে মাছ লুট করে দুর্বৃত্তরা।
তিনি আরও জানান, এঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ও সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কেউ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এমনকি ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে স্থানীয় একটি সমবায় সমিতি এই বিলে মাছ চাষ করছে। তবে এভাবে তাদের সমস্ত মাছ লুট হয়ে যাবে সেটা কল্পনা করা যায় না। যে বা যারাই এই অন্যায় কাজটি করছে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
মাছ লুটের বিষয়ে জামালপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জিন্নাত শহীদ পিংকি জানান, সরকার বিলটিকে ইজারা দিয়ে দিয়েছে। এখন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এ বিলের সমস্ত কিছুর মালিক ইজারাদার। যেহেতু সেই বিলে মাছ লুটের ঘটনা ঘটছে, সেহেতু তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দারস্ত হতে হবে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, ঘটনা শুনেছি, বিষয়টি যাচাই বছাই শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।