প্রতিনিধি জামালপুর দৈনিক জামালপুর বার্তা :
অবৈধ ভোটে নির্বাচিত জামালপুর সদরের শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জামালপুর সদরের শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আলম আলী। ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তার মন মতো ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম চলমান রাখে।
গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামীলীগ সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করার পর পরই তাদের নেতৃত্বাধীন দলীয় সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও পরিষদ ছাড়তে বাধ্য হয়। শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলম ও তার ব্যতিক্রম নয়।
এরই মধ্যে ইউপি পরিষদের সাবেক সচিব মেহেদী হাসানকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পরিষদ হতে বদলি করা হয়েছে।
ইউপি পরিষদে খোজ নিয়ে জানা যায় গত ৫ আগষ্টের পর হতেই গা ঢাকা দিয়েছে চেয়ারম্যান আলম ও তার নেতৃত্ব দেওয়া বাহিনী। ইউপি চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির জন্য বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পরছে ইউনিয়নের সাধারণ লোকজন।
ইউপি পরিষদে জন্মনিবন্ধন করতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজে তার সাক্ষর নেওয়া যাচ্ছে না,যার কারনে প্রয়োজনীয় কাজ সঠিক সময়ে হচ্ছে। আবার তিনি তার কাজ পরিষদে উপস্থিত না হয়ে নিজ বাড়িতে বসে চালানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
পরিষদের আনসার সদস্য জানান চেয়ারম্যান সাহেব ৫ তারিখের পর আর তেমন আসেনি।তার সাথে ফোনো যোগাযোগ ও কোনো কাগজে সাক্ষরের প্রয়োজন হলে তার বাড়িতে গিয়ে করিয়ে নিয়ে আসি আমরা।
পরিষদের নব্য নিযুক্ত সচিব জানান আমি এই ইউপি পরিষদে গত ২৭/৮/২৪ তারিখে জয়েন করেছি।চেয়ারম্যান সাহেব এর সাথে তেমন দেখা সাক্ষাৎ নেই বললেই চলে।জরুরি প্রয়োজনে ফোনে কথা হয়।পরিষদে যারা সেবা নিতে আসেন তাদের যথাসম্ভব সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।তবে এটা সত্যি চেয়ারম্যান সাহেব ছাড়া পরিষদে ভোগান্তি বেড়েছে।
ভুক্তভোগীদের দাবী শরীফপুর ইউনিয়রে বরাদ্দকৃত অতিদরিদ্রদের জন্য কর্ম সংস্থা কর্মসূচীর শ্রমিকের টাকা পরিশোধে অনিয়ম, প্রধানমন্ত্রীর উপহার সবার জন্য গৃহ নির্মান কর্মসূচীতে উপকার ভোগীর নিকট থেকে টাকা নিয়ে বছরের পর বছর ঘুরিয়ে কিছু লোককে ঘর প্রদান করেন। মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদানকর্ম সূচীর আওতায় গর্ভবতী মহিলাদের নিটক থেকে টাকা নিয়ে ভাতাভোগী বাছাই করেন। ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত ভিজিডি কর্মসূচীর উপকার ভোগীর নিকট থেকে টাকা নিয়ে নাম মাত্র লটারী প্রক্রিয়া করে চেয়ারম্যান তার নিবার্চিত টাকা নেওয়া মহিলাদের নাম তালিকাভূক্ত করেন।
এছাড়াও ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কর্মসূচীর উপকারভোগীর মধ্যে নিজের ব্যক্তিগত প্রদানের জন্য বিজিএফ স্লিপ চেয়ারম্যান নিজে রেখে বিক্রি করারও অভিযোগ ও পাওয়া গেছে।
এদিকে এলাকার স্থানীয়দের দাবী দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যানের এই সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে এতোদিন কেও কিছু বলতে গেলে তিনি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দমিয়ে রেখে ছিলেন।
দুর্নীতিবাজ ইউপি চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে নানা রকম অনিয়ম দুর্নীতি ও নাগরিকদের হয়রানি নিরসনে জরুরি ভিত্তিতে পদত্যাগের দাবি বাস্তবায়নে জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,জামালপুর জেলা প্রশাসক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।