রেজাউল করিম রাজু শেরপুর প্রতিনিধি :
শেরপুর শহরের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শেরপুরের রিকশা শ্রমিকরা। পহেলা অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর বটতলা মোড়ে পৌরসভা গেটের সামনে রাস্তা অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করে রিকশা শ্রমিকরা। এই রাস্তা অবরোধের কারণে শেরপুর সদর হাসপাতালে যাতায়াত করতে পারছে না রোগীরা। রিক্সা শ্রমিকদের অভিযোগ প্রত্যেক রিকশা থেকে প্রত্যেকদিন ৩০০ টাকা করে চাদা দাবি করেছে শেরপুর পৌরসভা। তাই আমরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করছি।অন্যদিকে শেরপুর পৌরসভার প্রশাসক বলছেন রিক্সা শ্রমিকদের কাছ থেকে কোন প্রকার চাঁদা নেওয়া হয়নি।
পৌরসভা এবং রিকশা শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা যায় শেরপুর পৌরসভায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার রিকশা চলাচল করে। এদের অনেকেরই লাইসেন্স নেই এবং অনেকের লাইসেন্স মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। রিকশাচালকদের অভিযোগ, আমাদের রিক্সার লাইসেন্স নবায়ন এবং নতুন করে লাইসেন্স করার সময় সুযোগ না দিয়েই হঠাৎ করে রিক্সা ধরপাকড় শুরু করেছে পৌরসভা। বর্তমানে সব সময় বিদ্যুৎ থাকে না এবং চার্জ দিতে পারিনা, চার্জ না দেওয়ার কারণে প্রত্যেক দিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বেশী ভাড়া মারতে পারছি না। আমরা কিভাবে লাইসেন্স করব, আমাদেরকে সময় দিতে হবে। আমাদেরকে সময় না দিয়েই প্রত্যেক দিন ৩০০ টাকা চাঁদা দিয়ে রিকশা চালাতে বলেছে শেরপুর পৌরসভা। আমরা এই চাঁদার ৩০০ টাকা দিতে পারব না জানালে, আজকে হঠাৎ করে রিকশা ধরপাকড় শুরু করেছে পৌরসভার কর্মচারীরা।
শেরপুর রিক্সা অটোরিকশা ভ্যানচালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুল আলম বলেন, আমরা চাঁদা দিয়ে রিকশা চালাতে চাই না আমাদেরকে মেরে ফেলুন অথবা সহজেই যেন পৌরসভায় রিকশা চালাতে পারে সেই ব্যবস্থা করে দিন। আমরা অটো রিক্সা চালিয়ে জীবন যাপন করি। আমাদের রিক্সার লাইসেন্স ১৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫০০ টাকা করা হয়েছে। এটা আমাদের প্রতি জুলুম করা হয়েছে এবং পৌরসভাকে অনুরোধ করেছি, দরখারস্ত দিয়েছি আমাদের রিকশার লাইসেন্সের টাকা কমান কিন্তু তারা কমায় নাই। পৌরসভা আমাদেরকে কথা দিয়েছিল যারা স্বেচ্ছায় লাইসেন্স করতে চায় আমরা তাদেরকে লাইসেন্স দিব এবং কোন প্রকার জোড়-ঝুলুম কিংবা কোনো রিক্সা আটক করবো না কিন্তু পৌরসভা তাদের কথা রাখেনি। এই জন্য আমরা আজকে আন্দোলনে মাঠে নেমেছি এবং রাস্তা অবরোধ করেছি।
শেরপুর পৌরসভার প্রশাসক তোফায়েল আহমেদ বলেন, লাইসেন্স ছাড়া কোন রিক্সা চলাচল করতে পারবে না এবং তাদের কাছ থেকে কোন প্রকার চাঁদা নেওয়া হয়নি। যে সমস্ত রিক্সার লাইসেন্স নেই তাদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা এবং যাদের লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি তাদের থেকে ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে যেটা সরকারি কোষাগরে জমা হবে।