নিজস্ব প্রতিনিধি দৈনিক জামালপুর বার্তা:
জামালপুর সদর উপজেলার গোপালপুর প্রকাশ্য
দিবালোকে আওয়ামী লীগ নেতাদের নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (৯ই অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে গোপালপুর বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত ওই বিএনপি নেতার নাম মো. জামালউদ্দিন (৫৪) তিনি জামালপুর সদর উপজেলার গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা এবং গোপালপুর ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি ।
বিএনপি নেতাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছেন যারা তারা হলেন- জামালপুর জেলা যুবলীগের সদস্য মো: বাবলু,ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন’র ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন আওয়ামী- লীগ এর সহ-সভাপতি চান মিয়া আকন্দ, ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর উপদেষ্টা
হাকিম, ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এনামুল হক, ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সহ- সভাপতি রফিক, ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সদস্য- মমিন মিয়া, ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সহ- সভাপতি হাসেন মিয়া, ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সদস্য- মোস্তফা,৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সহ-সভাপতি সোহেল মিয়া, বাঁশচড়া ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য- খোকা মিয়া,সহ আরো অনেকেই।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় ভুক্তভোগী মো. জালাউদ্দিনের সঙ্গে
অভিযুক্ত জামালপুর জেলা যুবলীগের সদস্য মো: বাবলু ও ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন’র ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন দীর্ঘদিন যাবত রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিল।
এর আগে গত ২৫ জুলাই মো: বাবলু ও জামালউদ্দিন
নেতৃত্বে ভুক্তভোগীর বসতবাড়িতে হামলা চালানো হয়। এরই প্রেক্ষিতে আজ সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ভুক্তভোগী জালাউদ্দিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুড এবং নির্মম ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন প্রকাশে।
অভিযুক্ত কারীর বাবাকে বাবলু নেতৃত্বে তাকে টেনেহিঁচড়ে রিকশা থেকে নামিয়ে চাইনিজ কুড়াল ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করেন । এক পর্যায়ে মার খেয়ে মাথা ও হাতের রক কাটা হয় ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়লে তাকে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় জনতা ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে জামালপুর সদর ২৫০ বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখান থেকে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে, বিভাগীয় ময়মনসিংহ মেডিকেলে হস্তান্তর করেন।
ভুক্তভোগী আশঙ্খাজনক অবস্থা দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকেও ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে হস্তান্তর করেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জালাউদ্দিনের ছেলে নাজমুল হোসেন দৈনিক জামালপুর বার্তা কে বলেন, আমার বাবা একজন বিএনপি নেতা।
এ কারণে দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আমার বাবার বিরোধ চলে আসছিল। সবশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেওয়ায় অভিযুক্তদের নেতৃত্বে আমাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
এর আগেও বেশ কয়েকবার আমার বাবার উপর হামলার চেষ্টা করে তারা।
বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার থানায় আমরা অবগত করলেও কোনো বিচার পাইনি। আজকে তারা আমার বাবাকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি। আমি আমার বাবার উপরে এ হামলার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।