রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একে এইচ এম সাইদুর রহমানের মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ৫দিনে অবৈধভাবে ৪৫০ জন্মনিবন্ধন তৈরি করা হয়েছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মিনারুল হকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ওই চেয়ারম্যান।
বুধবার দুপুরে চেয়ারম্যান একে এইচ এম সাইদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, তঁার অজান্তে অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত তঁার জন্মনিবন্ধন আইডির মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে অবৈধভাবে ৪৫০ জনের জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করে বিতরণ করেছেন চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মিনারুল হক। যার প্রায় ৯৭ শতাংশ বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের মানুষ। ওইসব সনদধারীদের শনাক্ত করতে পারেনি ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও এলাকার জনগণ। যা সম্পন্নভাবে আইন ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে তৈরি করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান আরও অভিযোগ করে বলেন, চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদে গত ২০২৪ সালের আগষ্ট মাসের ১৮ তারিখে ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) হিসেবে যোগদান করেন মিনারুল হক। যোগদানের দিন ছাড়া অন্য সব দিনগুলোতে ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত থাকেন তিনি। এ কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে পরিষদের কার্যক্রম। সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ।
চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মিনারুল হকের (০১৯২০০৩২৭১৩) ব্যবহৃত নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কথা হয় রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে তদন্ত চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।