নিজস্ব প্রতিনিধ : জামালপুর সদর উপজেলার অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য সৌদি আরব সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো বেশির ভাগ দুম্বার মাংস উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কিছু কিছু জায়গায় দেওয়া হলেও উপরন্তু গরিব ও দুস্থদের মধ্যে যাঁরা মাংস পেয়েছেন, তাঁরা পরিমাণে কম পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন । এ ছাড়াও শনিবার সন্ধ্যায় দুম্বার মাংসের প্যাকেট উপজেলার কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারীর বাসায় নিয়ে যেতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিন্নাত শহীদ পিংকি জানান, সদর উপজেলায় ৪২ কাটুন দুম্বার মাংস এসেছে । সব এতিম খানায় যাবে এবং ১৫ টি কাটুন ১৫ টি ইউনিয়নে যাবে ।
তালিকা বা মাষ্টার রোল করা আছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসাদ সাহেবের কাছে আছে পরে দেখে নিয়েন। ছুটির দিনে আপনাদের জন্য তালিকা নিয়ে কেউ বসে নেই। দুম্বার মাংস ভাগ ভাটোয়ারা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, গরীব এবং এতিমের মাংস কে ভাগাভাগি করবে। আপনাদের সাংবাদিকদের মধ্যে কেউ এসে কাড়াকাড়ি করতেছে।
আমাদের কোন অফিসার এই মাংস নিচ্ছে না। দুম্বার মাংস গন্ধ তাই কেউ এগুলা ধরে না। আমরা বেশির ভাগই এতিম খানায় দিয়ে দিচ্ছি। তার কার্যালয়ের বাম পার্শে কোয়াটারে এক রুমে মাংসের প্যাকেট ডুকতে দেখা গেছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, চতুর্থ শ্রেণীর স্টাফ আছে এরা হয়তো ১ কেজি করে নিতে পারে।
এদিকে জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনকে শনিবার রাত ৭ টা ৫৫ মিনিটে কল দেওয়া হলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।