নিজস্ব প্রতিনিধি দৈনিক জামালপুর বার্তা : জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া এলাকায় কবিরাজি চিকিৎসার সাথে জড়িত ফাফেজা বেগমকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হাফেজা বেগম।
তিনি এক প্রতিবাদ লিপিতে বলেন, বিভিন্ন সংবাদপত্রে আমাকে এবং আমার স্বামীকে ‘জিনের বাদশা’ আখ্যা দিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে, আমি একজন কবিরাজ।
দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়ভাবে মানুষের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসাসেবা ঝাড়-ফুকুরসহ বিভিন্ন ওষধী গাছের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে আসছি। আমার কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করে অনেকেই উপকৃত হওয়ায় ক্রমেই রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
বহু দূরদূরান্ত থেকেও আমার কাছে অনেক রোগী আসেন। আমি মূলত নারীদের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি। আমি রোগীদের কাছ থেকে কোন টাকা নেইনা। কিন্তু রোগীর স্বজনরা খুশি হয়ে নামমাত্র বকশীস দিয়ে থাকে। চিকিৎসা করে আমি যা পাই তাই দিয়েই আমার সংসার চালাই।
অথচ সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, আমি নাকি মানুষের সাথে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছি। এইসব কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আমি যে চিকিৎসাসেবা দেই তার বিনিময়ে রোগভেদে সামান্য কিছু টাকা দেয়। আমার কাছ থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়ে উপকার পায় বলেই রোগী বা রোগীর স্বজনরাই খুশি হয়ে আমাকে বকশীস দিয়ে থাকেন।
প্রকাশিত সংবাদে আমার চিকিৎসার ঘটনার সাথে আমার স্বামী বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তারকে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যেমূলকভাবে জড়িয়ে তারও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।
প্রকৃত পক্ষে আমার স্বামী আমার চিকিৎসাসেবার সাথে শুধুমাত্র দেখভাল করেন। যেহেতু বাড়িতে অনেক রোগী আসেন, সে কারণে আমার স্বামী আমাকে তখন সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন।
আমার চিকিৎসার বিষয়ে তিনিও কারও সাথে কখনোই প্রতারণা করেন নাই। কারও কাছ থেকে টাকাও গ্রহণ করেন না। আমার স্বামী একজন ভালো লোক। তিনি জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের সেবা দিয়ে আসছেন।
আমার স্বামী ও আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করে আমার এবং আমার স্বামীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে বিধায় আমি প্রকাশিত সংবাদগুলোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
হাফেজা বেগম
রশিদপুর ইউনিয়ন,
ভাটিপাড়া, জামালপুর সদর।