নিজস্ব প্রতিনিধি : জামালপুর শহরের কম্পপুর মোড় থেকে মেঘলা নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রী কে অপহরণের দেড় মাসের অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
সে মেলান্দহ থানাধীন মালিকাডাঙ্গা কাওমী মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। এ ঘটনায় জামালপুর সদর থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কম্পপুর এলাকার আমিনুরের স্ত্রী মোছা: রুনা বেগম ।
মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে আরও ২ জন। মামলার আসামিরা হলেন- মেলান্দহ উপজেলার টুপকারচর গ্রামের মৃত- মতি সরকারের ছেলে বিপ্লব সরকার এবং তার মা মোছা: হাজেরা বেগম, একই উপজেলার ঘুষের পাড়া গ্রামের মৃত রমজান আলির ছেলে মো. রাজু আহমেদ আজম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,পারিবারিক ভাবে মেঘলা কে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেয় অভিযুক্ত বিপ্লব সরকার ও তার পরিবারের লোকজন কিন্তু নাবালক ওই ছাত্রীর বাবা মা মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হয়নি ।
২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে জামালপুর শহরের কম্পপুর নিজ বাড়ি থেকে রাস্তা হাটার উদ্দেশ্যে মেঘলা বের হয় এমন সময় মামলার আসামিরা হায়েজ গাড়িতে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় মেঘলা কে।
মামলাটি বর্তমানে সদর থানা পুলিশ তদন্ত করছেন । স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনার দেড় মাসের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও মামলার সকল আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বর্তমানে মেঘলার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার ১৮ (ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তাঁর মা রুনা বেগম দৈনিক ঢাকার ডাক কে জানান, দেড় মাসের বেশি হলো আমার মেয়েকে আসামিরা হায়েজ গাড়িতে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।
কিন্তু অপহরণ হওয়ার দীর্ঘদিন পার হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। আমার মেয়ে জীবিত আছে নাকি মরেই গেছে কিছুই বলতে পারছি না ।
আমার মেয়েকে তাঁরা হত্যা করতে পারে বা পাচারও করতে পারে। মামলাটি সদর থানা পুলিশ তদন্ত করছেন। বর্তমানে আমরা কি করবো ভেবে পাচ্ছি না ।
এই বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সাল মো.আতিকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো.মাজহারুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় জড়িতদের ধরার চেষ্টা চলমান রয়েছে।