জামালপুরে ভুল চিকিৎসায় মা এর মৃত্যুর অভিযোগ

doinikjamalpurbarta

নিজস্ব প্রতিবেদক : জামালপুর সদর উপজেলায় নান্দিনা বাজারে তালুকদার ডায়াগনস্টিক এন্ড হসপিটালে ভুল চিকিৎসায় এক মা এর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে নিহতের স্বজনরা। ঘটনার পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় চিকিৎসক সহ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ ) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া মা শ্রীপুর ভালুকা বাজার পূর্ব পাড়া গ্রামের দর্জি ফরিদ মিয়ার স্ত্রী লিপি বেগম।

নিহতের স্বামী ফরিদ মিয়া সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন,৪ মার্চ ভোরে তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে সকাল ৭ টায় নান্দিনা বাজারস্থ তালুকদার ডায়াগনস্টিক এন্ড হসপিটাল নিয়ে আসে।

সেখানে প্রথমে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টায় ব্যার্থ হলে বেলা ১২ টার দিকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রসূতি লিপি বেগমকে সিজার করতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার কথা বলেন। সিজারে নবজাতক সুস্থ থাকলেও ভুল চিকিৎসায় লিপি বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

গর্ভবতী মায়ের অতিরিক্ত রক্তপাত এর কারণে কর্মরত ডা: শাহাদত উপায় না দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে লিপি বেগম মারা যান।

তালুকদার ডায়াগনস্টিক এন্ড হসপিটাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও চিকিৎসক শাহাদাত হোসেনের ভুল চিকিৎসায় লিপি বেগমের মৃত্যুতে শোকের৷ ছায়া নেমে এসেছে স্বজনদের মাঝে।

এদিকে ভুল চিকিৎসায় লিপি বেগম এর মৃত্যুর পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তারা। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় স্বজন ও এলাকাবাসী। একই সঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক ডা, নাঈম তালুকদার কে অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধরা।

খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আসে জামালপুর সদর থানা পুলিশ। এ সময় বিক্ষুব্ধ-স্বজনরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং কর্মরত ডাক্তারের শাস্তির দাবি জানান।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, তালুকদার ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালে পূর্বেও ভুল চিকিৎসায় একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

হাসপাতালের পরিচালক ডা, নাঈম তালুকদার অনেক সময় সিজার অপারেশনের রোগীদের গাইনি সার্জন না নিয়ে নিজেই অর্থের লোভে অপারেশন করান।

উল্লেখ্য, ডা. শাহাদতের ভুল চিকিৎসায় একাধিক প্রসূতির প্রাণহানী ঘটলেও জেলার সিভিল সার্জন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি।

এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু ফয়সল মো: আতিক রাত সাড়ে এগারোটাই সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান, ভাংচুর হচ্ছে এমন সংবাদ শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে  এ বিষয়ে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি  লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।।

SHARES

ফেসবুকে অনুসরণ করুন

আরো পোস্টঃ