শাকিল হোসেন জামালপুর : জামালপুর শহরস্থ হরিজন কলনি তে প্রতিবারের মতো এবারো সম্পন্ন হলো হিন্দু ধর্মের সৌভাগ্যের সর্বোচ্চ দেবতা গণেশ দেবের পূজা।
জামালপুর হরিজন কলনি তে টানা তৃতীয় বারের মতো পালিত হলো এই পূজা। জেলা জুড়ে ৪৪ টি মন্দির ও ২০০ এর অধিক পূজা মন্ডব থাকলেও শুধু হরিজন কলনি মন্ডবেই আয়োজিত হয় এই পূজা।
সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি এবং বুদ্ধির দেব হলেন শ্রী গণেশ। শ্রী গণেশ সিদ্ধিদাতা, অর্থাৎ সকল কাজে সফলতা প্রদান করেন তিনি। এই কারণে সমস্ত শুভ কাজে, এমনকি সমস্ত পুজোর শুরুতে সিদ্ধিদাতার পুজো করা হয়।
সিদ্ধিদাতার আশীর্বাদে সমস্ত কাজে সফলতা আসে। দেবাদিদেব মহাদেব এবং দেবী গৌরীর পুত্র শ্রী গণেশ।
সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মের সময় দেবী দুর্গা সকলের সঙ্গে শনিদেবকেও নিমন্ত্রণ করেন তাঁর পুত্রের মুখ দেখে আশীর্বাদ করার জন্য। অনিচ্ছা সত্ত্বেও শনিদেব গৌরী পুত্রকে দর্শন করেন। শনিদেব দর্শন করা মাত্র গণেশের মাথা ভস্মীভূত হয়। এই অবস্থায় ভগবান বিষ্ণুর প্রচেষ্টায় হস্তীমস্তক দিয়ে শ্রী গণেশের পুনর্জীবন দান করা হয়।
দেবী দুর্গা ক্রুদ্ধ এবং চিন্তিত হয়ে পড়েন এই রূপ দর্শনের কারণে শ্রী গণেশকে দেবতা রূপে পুজো করা হবে কি না, এই চিন্তায়। অবশেষে সমস্ত দেবতার আশীর্বাদে শ্রী গজানন সিদ্ধি ও সফলতা লাভের দেবতার স্থান পান। এই কারণে সমস্ত শুভ কাজে, এমনকি সমস্ত পুজোর শুরুতে সিদ্ধিদাতার পুজো করা হয়।
কলনির হিন্দু ধর্মাবলম্বী রা বিশ্বাস করেন শ্রী গণেশ হচ্ছেন সৌভাগ্য ও মঙ্গল দেবতা তাই তারা তাদের মঙ্গল কামনায় প্রতি বছর এর ন্যায় এবারো শ্রী গণেশ দেবের পূজার আয়োজন করে।
তারা প্রার্থনা করেন শ্রী গণেশ দেব যেন তার ভক্তের পূজা গ্রহণ করেন এবং তাদের সৌভাগ্য ও মঙ্গল দান করেন। আর প্রতি বছরই যেন এই পূজার আয়েজন করতে পারে এই প্রার্থনা করেন।
১৮-০৪-২০২৫