নিজস্ব প্রতিবেদক : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বুলবুল আহমেদ বিপ্লব (৩৪) নামের এক ব্যবসায়িকে মুখে ঘাস-বালু ঢুকিয়ে,পায়ে ও গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।
এ সময় তাঁর নাকে-মুখে চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অচেতন করা হয়। নিশ্চিত মৃত্যু ভেবে মহাসড়কের ওপর ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বত্তরা। ওই সময় রৌমারী থানা পুলিশের একটি দল অচেতন অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
জ্ঞান না ফেরায় পরদিন সকালে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। গত ১০মে (শনিবার) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার রৌমারী-ঢাকা মহাসড়কের ‘ভাষাসৈনিক গেইট’ নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরে ১৬ মে ভুক্তভোগির ভগ্নিপতি কামরুজ্জামান বাবু বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা বরেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের গোলাবাড়ি আকন্দপাড়া গ্রামের ছক্কু মিয়ার ছেলে নুরুন্নবী। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
এ ছাড়াও আসামী করা হয়েছে রৌমারী সদর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে আবু সায়েমকে। আরও অজ্ঞাত ২জনকে আসামী করা হয়েছে।
তবে দীর্ঘ ২২দিনেও এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে না পারায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।
নির্যাতনের শিকার বুলবুল আহমেদ বিপ্লব উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর চাক্তাবাড়ি গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে। কর্তিমারী বাজারে তাঁর ‘বিপ্লব ভেটেরিনারি’ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
রোববার (১জুন) সরেজমিন দেখা যায়, এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি সম্মিলিত বিভিন্ন ব্যানার-পোস্টার উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে টানানো হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে এজাহার নামীয় আসামী নুরুন্নবী ও আবু সায়েম পলাতক রয়েছেন।
ভুক্তভোগি বিপ্লবের স্ত্রী রোজিনা খাতুন বলেন,ঘটনার রাতে পুলিশ যদি আমার স্বামীকে (বুলবুল) তাৎক্ষনিক উদ্ধার না করতো হয়তো তাঁকে আর জীবিত ফেরত পেতাম না।’
তিনি বলেন, এ ঘটনার কয়েকদিন আগে ফারুখ নামের এক মাদক কারবারিকে ইয়াবাসহ পুলিশ আটক করে। এতে তিনি (বিপ্লব) পুলিশকে সহযোগিতা করেছেন এমন সন্দেহে তাঁর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি নুরুন্নবী ও তার সহযোগিরা। বিপ্লবকে প্রাণে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে ওরা।
রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন. এ ঘটনায় হত্যা ও লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগে একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং ভিক্টিম বুলবুল আহমেদ বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
