বিপুল মিয়া সরিষাবাড়ি : জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ভেবলা গ্রামে বিদেশ যেতে না পেরে আনোয়ার বেগম নামে এক বিধবাকে মারধরের পর বসতঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এই অভিযোগ একই এলাকার সরিষাবাড়ি উপজেলা সমন্বয়ক কমিটির সদস্য সচিব ছাবের হোসেন বিপুল গংদের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি রোববার সকালে ভেবলা এলাকায় ঘটেছে। এ ব্যাপারে বিধবা আনোয়ার বেগম বলেন,তার দুই ছেলে রবিন এবং রোকসি প্রায় দুই বছর আগে মালয়েশিয়া প্রবাসে যান।
এর আগে এলাকার স্বাধীনসহ আরও দুই তিনজনের বিদেশ যাওয়ার কথাছিল আনোয়ারা বেগমের ছেলের সঙ্গে,তৎমর্মে এজেন্সিতে টাকা পয়সাও জমা দেন তারা।পরে ওই দেশে লোকবল নেয়া বন্ধ হলে বিদেশ যেতে পারেনা আর তারা।
এক পর্যায় ঘটনারদিন ছাবের হোসেন বিপুলের নেতৃত্বে স্বাধীনের মা,বাবা আনোয়ারা বেগমকে মারধর করে,এতেও ক্ষান্ত না হয়ে তারা ওই বিধবার বসত ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে রোকসি সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন,তারা বিদেশ আসতে পারে নাই ঠিক আছে,তাদের টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
এ সত্ত্বেও আমার বিধবা মাকে মারধর করেছে তারা এবং আমার বসত ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে এজেন্সিতে থাকা নোয়াখালী জেলার ইমরান হোসেন বলেন,সরকার মালয়েশিয়ার জনবল নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে,তাই তারা যেতে পারেনি,চালু হলে আবার যেতে পারবে এই বলে বিধবাকে মারধর করতে পারেনা তারা।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ি উপজেলা সমন্বয়ক কমিটির সদস্য সচিব ছাবের হোসেন বিপুল বলেন,আমাদের টাকা দিয়েই রোকসি এবং রবিন বিদেশ গিয়েছে,তারা এলাকাবাসির সঙ্গে বিদেশ নেয়ার নামে প্রতারনা করেছেন,আমরা টাকা ফেরত চাই।
তবে ওই বিধবার ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চচল্যের সৃষ্টি হয়েছে।