তৌকির আহাম্মেদ হাসু, স্টাফ রিপোর্টার : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে প্রায় ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার মধ্যে মাত্র অর্ধেক রাস্তায় মাটি কেটে সংস্কারের কাজ করেই পুরো বিল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বাকি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের ধারাবর্ষা এলাকার পপুলার ব্রিজ থেকে ধারাবর্ষা পূর্বপাড়া পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে শত শত নারী-পুরুষ এ বিক্ষোভে অংশ নেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাঠামো (কাবিখা/কাবিটা) প্রকল্পের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আওতায় এই কাঁচা রাস্তা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪ লাখ ৭৬২ টাকা।
বরাদ্দ অনুযায়ী ধারাবর্ষা গ্রামের পপুলার ব্রিজ থেকে ধারাবর্ষা পূর্বপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তায় মাটি কাটার কথা থাকলেও প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মেরী আক্তার এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মাত্র প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তায় মাটি কেটে কাজ শেষ করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাকী ২ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার না করায় তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
কাদায় ভর্তি রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।এ অবস্থায় ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামবাসী কাদার মধ্যে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া নাছের উদ্দিন, সোহেল রানা, আনোয়ার, ইউসুফ, ফারুক, বিপুল, আমিন, মামুন, রিপন ও রুবেলসহ অনেকে বলেন—রাস্তা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ এসেছে ৪ লাখ ৭৬২ টাকা।
কিন্তু সভাপতি ও সম্পাদক মাটি কাটার কাজে খরচ করেছেন প্রায় ২ লাখ ৩ হাজার টাকা।বাকী কাজ না করেই পুরো বিল তুলে নিয়েছেন তারা।
আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সভাপতি মেরী আক্তার বলেন—আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। যতটুকু রাস্তার কাজ করার কথা ছিল, ততটুকুই করেছি এবং বিল নিয়েছি। কিছু টাকা পিআইও অফিসে দিতে হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. শওকত জামিল জানান—এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি।অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।